তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামী ও সৎ ছেলেরা পিটিয়ে নুরজাহান বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নুরজাহান বেগম উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ীর কয়সর মিয়ার প্রথম স্ত্রী। কয়সর মিয়া প্রায় ৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চাঁচড়া ইউনিয়নের উত্তর চাঁচড়া ২নং ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছেন।
কিছুদিন আগে জমিজমা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এরধারাবাহিকতায় গত সোমবাার (১৮ জুলাই ) সকাল ১১ টায় কয়সর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেদের নিয়ে অধা কিলোমিটার দূরে প্রথম স্ত্রী নুরজাহানের বাড়ীতে এসে জোড়পূর্বক পেঁপে ও জাম্বুরা পাড়তে চায়।
এসময় প্রথম স্ত্রী নুজাহান বেগম পেঁপে, জাম্বুরা পাড়তে বাঁধা দিলে কয়সারের উসকানিতে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন ছেলেসহ লাঠিসোটা নিয়ে নুরজাহানের উপর এলাপাতাড়ি হামলা চালায়।
হামলায় নুরজাহান গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তজুমদ্দিন থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করলে শুক্রবার বিকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহত নুরজাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলে, জাহাঙ্গীরের পিতা কয়সর আহাম্মদ (৭০), তার সৎ মা জোসনা বেগম (৪৫), সৎ ভাই মনির (২৫), দুলাল (২০) ও রুবেল (৩০)। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।
এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জিয়াউল হক বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী, সতীন ও সৎ ছেলেরা মিলে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা-০৯ তারিখ ২৪.০৭.২০২২ ইং। বর্তমানে মামলাটি তদন্তনাধীন অবস্থায় আছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।