ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের

:
: ৬ years ago

ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কোটা সংস্কারের সমর্থক শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০টার আগে থেকেই বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। তবে মঙ্গলবার তারা ঘোষণা দেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা অথবা সরকারি আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ দাবিতে দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

সোমবার কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সংসদে দেওয়া বক্তৃতা প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহারের কোনো তথ্য না পাওয়ায় ‘ছাত্র অধিকার সংগ্রাম পরিষদে’র ব্যানারে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। অবশ্য আন্দোলনকারীদের একটি অংশ সোমবার রাতেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে অপরপক্ষও যোগ দেয়।

মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া পক্ষটি আন্দোলনের সমর্থকদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল। তবে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার না হওয়ায় দৃশ্যত বিভক্ত দুটি পক্ষই এক হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গতকাল তিনটি দাবির কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- আটক ব্যক্তিদের মুক্তি, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা। তারা বলেন, আটকদের এখনও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ‘বাজেটের পর কোটা সংস্কারে হাত দেওয়া হবে’ বলে অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য মঙ্গলবার দিয়েছেন, তারও প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, বাজেটের আগেই কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।