ঢাবির সুফিয়া কামাল হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

গভীর রাতে অভিভাবক ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে চারুকলা, শাহবাগ, টিএসসি হয়ে নীলক্ষেত ঘুরে এসে আবার রাজু ভাষ্কর্যের সামনে শেষ হয়। এরপর সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এসময় সংগঠনটির নেতারা কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া আট শিক্ষার্থীকে সম্মানের সঙ্গে হলে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

সমাবেশে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমরা দুই মাস আন্দোলন করেছি। কিন্তু যখনই আন্দোলন সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছে, তখনই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হলে হলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এখন আন্দোলন করতে গেলে বাধা আসে। প্রশাসনকে বলতে চাই, হেনস্তা করবেন না। হলে সুন্দরভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করুন। হল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিন। আজকে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মেয়েদের উপস্থিতি কম। কারণ তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে।

সংগঠনটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, আটজন ছাত্রীকে মিথ্যা ভয়ভীতি দেখিয়ে কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সম্মানের সঙ্গে ওই ছাত্রীদের হলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়। নয়তো ছাত্রসমাজ আবার রাজপথে নামবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষার্থে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের স্থান ক্লাসে, তাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ওই ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দিয়েছে কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ফেইসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ‘সরকারবিরোধী বক্তব্য ও অপতথ্য ছড়ানোর কারণে’ তিন ছাত্রীর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

তবে ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাদের দাবি, তিনজন নয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘সক্রিয় ভূমিকা রাখায়’ আট ছাত্রীকে রাতে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।