সিনেটের গৃহীত সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে প্যানেলের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ আইনের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ সিনেট সদস্য স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাবির সিনেট সদস্যরা গত ৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দেখে বিস্মিত হয়েছেন। উপাচার্য নিয়োগের উদ্দেশ্যে গত ২৯ জুলাই সিনেট কর্তৃক তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়ে একটি রিট আবেদন আদালতে বিচারাধীন এবং তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বপদে বহাল থাকবেন বলে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এমতাবস্থায় অন্য একজনকে (তিন সদস্যের প্যানেলের বাইরে) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার, যা উচ্চ আদালত ও ঢাবির জন্য বিব্রতকর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাবির সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত এবং সিনেটকে অকার্যকর করার নানামুখী ষড়যন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতির এ ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠ উপহার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ- ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হবে। এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা প্রত্যেকেরই নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক নির্বাহী আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে উপাচার্য হিসেবে সাময়িক নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হয় গত ২৩ আগস্ট।