নাটোর ও পাবনা জেলার দায়িত্বে থাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছাহীকে (২৯) আটক করেছে ঢাকার সিআইডি পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে তাকে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকার শশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
অথচ গত তিন দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি নিখোঁজ হন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল।
রাকিবুল হাসান এছাহী পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের এছাম উদ্দিনের ছেলে বলে জানায় পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছাহীর মোবাইল ফোন গত তিনদিন ধরে বন্ধ থাকায় তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছিল। নাটোর ও পাবনা জেলার দায়িত্বে রয়েছেন ওই জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা। কিন্তু বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সিআইডি দলের সদস্যরা তার শশুর বাড়ি গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজার থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারীআসিক হোসেন জানান, গত ১০ ডিসেম্বর সকালে ক্রীড়া কর্মকতার রাকিবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার শেষ কথা হয়। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে অফিসে আসছেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন আর তিনি অফিসে আসেননি। পরে বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপার ও রাকিবুলের বড় ভাইকে জানিয়েছিলেন।
পাবনা অফিসে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার দুপুর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ওই ক্রীড়া কর্মকর্তাকে আটক করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল।