ঢাবিছাত্রীর মৃত্যু: শরীরে মিলেছে জখমের চিহ্ন

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইলমা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য ইলমার ব্লাড, নেক টিস্যু, ভিসেরাসহ প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুলশান আরা বানু বলেন, ‘ইলমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে রক্ত জমাট বেধে ছোপ ছোপ কালচে দাগ রয়েছে। তার হাত-পা, ঘাড়ে লম্বা-লম্বি এবং থুতনিতে কালচে জখম ছিল।’

তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তে সব ধরনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

ইলমার চাচা গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘মরদেহ সাভারের ধামরাইয়ে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। তাকে ধামরাইয়ের পাঠানটোলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন ঢাবি শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলা। পরে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ইলমার পরিবারের দাবি- ইলমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ইলমার মা সিমথি চৌধুরী বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

এদিকে, ইলমার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বনানী থানা হত্যা মামলা করা হয়েছে। ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, তার মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়েছে।