ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্যগত সনদ দেয়ার সময় বাধ্যতামূলক ঘুষ আদান-প্রদানের ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা এ সম্পর্কে দুদক কল সেন্টারে (১০৬) অভিযোগ জানালে বুধবার তাৎক্ষণিকভাবে দুদক সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের সমন্বয়ে পুলিশসহ ছয় সদস্যের একটি টিম আজিমপুরস্থ ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায়।
দুদক টিমের জিজ্ঞাসাবাদে কার্যালয়ের কর্মচারীরা স্বীকার করেন যে, তারা জনপ্রতি ন্যূনতম ৩শ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ অবৈধভাবে আদায় করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার এ অভিযানে কীভাবে ভুক্তভোগীরা হয়রানির শিকার হয়, কীভাবে তাদের নিকট হতে অর্থ আদায় করা হয়, কীভাবে উক্ত অর্থ বিলিবণ্টন হয় তা উদ্ঘাটন করেন দুদক কর্মকর্তারা।
এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইনের স্টিকার বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এ দুর্নীতি চলছে। গৃহীত জবানবন্দি ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শিগগিরই দুদক দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে আজকের অভিযানের পর ঘুষ-দুর্নীতির প্রবণতা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, হাতেনাতে গ্রেফতারের জন্য ট্র্যাপ টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।