ঢাকা টেস্টে নিজেদেরই এগিয়ে রাখলেন মুশফিক

:
: ৬ years ago

ঢাকায় সাফল্যের মালা তো অনেকবারই পরেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকে হারিয়েছে টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজে ফেবারিট থাকলেও দুটি খারাপ দিন গেল বলে শিরোপা জেতা সম্ভব হয়নি। তাই বলে টেস্ট ম্যাচটাও যাবে, তা বিশ্বাস করেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে হারানোর প্রেরণাকেই পাথেয় হিসেবে নিতে চান ঢাকা টেস্টে।

চট্টগ্রাম টেস্টে বলতে গেলে হারতে হারতে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক আর লিটন দাসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই জয়ের সমান একটি ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহীম মনে করেন, চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নিয়ে আসতে পেরেছে টিম বাংলাদেশ। বিশেষ করে যে পরিস্থিতিতে ড্র করেছে, অতীতে এমন পরিস্থিতিতে অনেক টেস্ট হেরেছিল টাইগাররা। এবার তো সেই পরিস্থিতি জয় করে টেস্ট ড্র করতে পেরেছে তারা!

আগেরদিনই পূত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন মুশফিক। পরদিনই আজ মিরপুরে দলের অনুশীলনে হাজির তিনি। মাঠে আসলেন মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে। সতীর্থ ক্রিকেটার, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে তো মিষ্টিমুখ করালেনই, সঙ্গে মিষ্টি খাওয়ালেন উপস্থিত সাংবাদিকদেরও। সেখানেই চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে নিজের বিচার-বিশ্লেষণ হাজির করলেন মুশফিক।

ইতিবাচক দিকগুলোর কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের শেষ টেস্ট থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক দিক নিয়ে আসতে পেরেছি। আমাদের অতীত পরিসংখ্যানে বেশ কিছু টেস্ট আমরা এ পজিশন থেকে হেরেছি। এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি যে, আমরা ম্যাচটি ড্র করেছি। এটা আমাদের খুবই দরকার ছিল।’

মুমিনুল-লিটনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে মুশফিক বলেন, ‘এখানে লিটন ও মুমিনুলের জুটিটা অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি, চট্টগ্রাম টেস্টের পর দল আরও বেশি উৎসাহ পাবে। আমরা হয়তো খুব বেশি ভালো বোলিং করতে পারিনি। তারপরও বলবো, আমাদের বোলাররা ক্যাপাবল ছিল। যেহেতু উইকেটে অনেক রান হয়েছে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা সেই সুযোগটি নিয়েছে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে দারুণ টেস্ট হয়েছে। আমরা মুখিয়ে আছি ঢাকাতে ভালো করার জন্য। আমাদের দারুণ সুযোগ আছে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নেওয়ার।’

ঢাকায় ১-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বোলিংটা তো ভালো হওয়া প্রয়োজন। সেটা তো চট্টগ্রামে দেখা যায়নি। ঢাকায় কীভাবে কী করবে বাংলাদেশ? মুশফিক মনে করেন, মিরপুরে পরিস্থিতি ভিন্নও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘যে কোন টেস্ট দলের জন্য বোলিং বিভাগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতই স্কোরবোর্ডে রান হোক না কেন ২০টা উইকেট তো নিতেই হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সহজ ছিল না। চট্টগ্রামে বোলারদের জন্য অতিরিক্ত কোন সুবিধা ছিল না। আগের দুইটা টেস্টে যেমন সুবিধা পেয়েছিল, সেটা এখান থেকে পায়নি ক্রিকেটাররা। আশা করি মিরপুরের উইকেটটা হয়তো অন্যরকম হতেও পারে। আমাদের পুরো বিশ্বাস আছে বোলারদের উপর।’

ঢাকায় পাওয়া সাফল্যগুলোকেই পাথেয় হিসেবে নিতে চান মুশফিক। তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েক বছর এখানে আমাদের খুব ভালো স্মৃতি আছে। আমরা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে ঢাকার মাটিতে হারিয়েছি। এখানে আমরা একটু হলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারব। টেস্ট, ওয়ানডে দুটিই ভিন্ন খেলা। মিরপুরে হয়তো ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ ভালো যায়নি; কিন্তু আমার তো খারাপ দল নই। আমাদের ওই দুটি দিন বাজে কেটেছে বলে আমরা হেরেছি। আমি মনে করি টেস্টের আগে আমরা ভালো একটা অবস্থানে আছে ব্যাটিং কিংবা বোলিং ইউনিট যাই বলেন।’