ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী মান্না না মাহী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে     নিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীর সন্ধানে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুই দলের বাইরেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেবে। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে সদ্য গঠিত যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নাকি বিকল্প ধারার মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী।

গত সিটি নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না প্রার্থী হওয়ার জোর গুঞ্জন ছিল। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থী হওয়া হয়ে উঠেনি। সূত্র মতে, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে হবে উপ-নির্বাচন। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী দলগুলো বলছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এ নির্বাচন নাও দিতে পারে। সরকারের এ নিবাচনে কোনো আগ্রহ নেই। তবে সিটি নির্বাচন হোক আর না হোক প্রার্থী হিসেবে অনেকেই এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেও বেশ কয়েকজন প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জানা গেছে, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মতোই ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেবে ক্ষমতাসীনরা।

এ জন্য অতীতের মতোই চমক আসতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে। বিএনপিতে প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিগত নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম। আরও কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জানা যায়. সদ্য ঘোষিত যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী কে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আলোচনায় যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিকল্প ধারার মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। তারা নির্বাচনে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সন্দেহ সংশয়ে রয়েছেন। যুক্তফ্রন্টের দুই নেতা বলেন, শেষ পর্যন্ত সরকার সিটি করপোরেশন উত্তরের নির্বাচন নাও দিতে পারে।

গত ৩০ নভেম্বর ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত ১৬টি ইউনিয়নকে ৩৬টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে গত ৩০ জুলাই গেজেট জারি করা হয়। তবে ঢাকার অলি-গলিতে এখনই চায়ের আড্ডায় চলে নির্বাচনের নানামুখী আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখনো প্রার্থিতা নিয়ে সেই অর্থে ভাবিনি। তবে প্রার্থী হলে আবারও সরকারের রোষানলে পড়ব। আমার মামলার জামিন বাতিল হয়ে যাবে। গত নির্বাচনে যা হয়েছিল। আবার জিতলেও যে ভালো অবস্থানে থাকব তাও নয়।

গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নানের মতো পরিণতি হবে না— তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমি এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় হলে সব জানানো হবে।  যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী বলেন, আদৌও নির্বাচন হবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন হলেও তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কতটুকু হবে তাও দেখতে হবে। তাই এখনো প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিচ্ছি না। সময় হলে সবই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।