তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকা আসছেন জাপানের অর্থ বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়কমন্ত্রী হিরোসিগে সিকো। আগামী ১৪ জানুয়ারি তার বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চতুর্থবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপানের ইকোনমিক মিনিস্টারের বৈঠকের আগ্রহ দেখিয়েছে টোকিও।
গত শনিবার ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকারের সঙ্গে জাপানের কাজকর্ম বিষয়েও তারা কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত তার দেশের ইকোনমিক মিনিস্টারের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার বিষয়টি অবহিত করেন। সরকার গঠনের পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের তরফে জরুরিভিত্তিতে জাপানের মন্ত্রীর সফরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দফতরে জানানো হয়। তাদের শিডিউলও চাওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো জাপানের মন্ত্রীর সফরের বিস্তারিত এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, নবগঠিত সরকারের আমলে পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী জাপানের মন্ত্রীর সফরই হবে প্রথম কোনো বিদেশি মন্ত্রীর সফর। ফলে সরকার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মন্ত্রীর সফরের কর্মসূচিসহ অনেক কিছুই এখনো দুই পক্ষের আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
গত শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে তার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাপান সরকার। জাপান সরকার জানায়, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা স্বাগত জানাই, বাংলাদেশের সব প্রধান দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রকৃত রায় দিতে পেরেছেন।
স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাপান আশা করে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখবে। আর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে জাপান তাদের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের ভোটের দিন রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে জাপান সরকার অবহিত রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।