তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের এই নেতা। রাত ৯টার দিকে এক বিশেষ বিমানে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ফুলেল অভ্যর্থনার পাশাপাশি সেখানে তাকে 'স্ট্যাট্রিক গার্ড অব অনার' প্রদান করা হয়।

মূলত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতেই তার এই সফর বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। ওদিকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবার কথা।

দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হবে। ঢাকা ও আনকারার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সফরকালে বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের অব্যাহতভাবে রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে তুরস্কের অঙ্গীকারের বিষয়টি তিনি পুনঃর্ব্যক্ত করবেন। এরপর রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার সফরে যাবেন বিনালি ইলদ্রিম।

তবে তার আগে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসেৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বৈঠক হবার কথা রয়েছে।

জানা যায়, রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তুরস্ক ১ লাখ ২৫ হাজার আবাসনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা করবে দেশটি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। এর আগে গণহত্যার শুরুতেই তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনে এরদোগান সর্বাগ্রে বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।