ঢাকার দুই মাদক স্পট থেকে আটক পাঁচ শতাধিক

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্প ও বনানীর কড়াইল বস্তিতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ-র‌্যাব।

ডগ স্কোয়াড নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ৫০৩ জনকে আটক করা হয়।

পরে র‌্যাব-২-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে মাদকের সঙ্গে জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় ৩৫০ জনকে।

বাকিদের মধ্যে ৯৬ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে। ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। আটকদের মধ্যে কয়েকজন নারী মাদক ব্যবসায়ীও রয়েছেন। ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, কড়াইল বস্তিতে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১০ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেনেভা ক্যাম্প ও কড়াইল বস্তি মাদক স্পট হিসেবে বহু দিন ধরে পরিচিত। দুটি স্পটের মাদকচিত্র নিয়ে  সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ শনিবার  প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয় কড়াইল বস্তির মাদক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে র‌্যাবের পাঁচ শতাধিক সদস্য জেনেভা ক্যাম্পের চারপাশ ঘিরে ফেলেন। ক্যাম্পে প্রবেশের প্রধান ছয়টি পথসহ ছোট ছোট পথগুলো বন্ধ করে তারা অভিযান চালান। এ সময় র‌্যাবের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। ডগ স্কোয়াড নামিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় সেখানে।

অভিযানে র‌্যাবের ঢাকার চারটি ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব সদর দপ্তরের পাঁ‎চ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চালানো এ অভিযানে আটক করা হয় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে।

জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান শেষে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। অনেকের ধারণা ছিল, ঘনবসতির কারণে এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা কঠিন। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান সফল দাবি করে তিনি বলেন, এখানে যারা মাদক ব্যবসা করেন, তারা যেন মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন। আর কোনো মাদক ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না।

র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান জানান, যাচাই-বাছাই করে মাদকের সঙ্গে জড়িত না থাকায় ৩৫০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ১৫৩ জনের বিরুদ্ধে।

এছাড়া বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে অন্তত ১০ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তকে আটক করা হয়েছে। রাতে ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলছিল।

পুলিশের গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কড়াইল বস্তি ঘিরে যারা মাদক ব্যবসা করে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।