গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ধসের পর আফিফ হোসেন ধ্রুব-মেহেদি হাসান মিরাজ দারুণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছিল। বছর না ঘুরতেই আফগানদের বিপক্ষে সেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি। প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিং ধসের কবলে পড়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়ে।
গত সিরিজ থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যাটিং ধসের পর বাংলাদেশ কিভাবে কামব্যাক করবে, এমন আলোচনা কি ড্রেসিংরুমে হয়েছিল? ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের একমাত্র পারফর্মার তাওহীদ হৃদয় এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জানান, তারা এরকম নেগেটিভ আলাপ ড্রেসিংরুমে করেন না।
‘এরকম নেগেটিভ কোনো আলাপ আমাদের ড্রেসিংরুমে হয় না। অবস্থান কখন কী হবে, পরিস্থিতি কি চায় সেই হিসেবে আমরা পরিকল্পনা করি। আমাদের সবার চিন্তাভাবনা পজিটিভ আছে, সবার উপর আমাদের বিশ্বাস আছে, যে কোনো পরিস্থিততে ওখান থেকে আমরা ওভারকাম করবো ইনশাল্লাহ।’
টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩ ওভারে মাত্র ১৬৯ রান করে। বৃষ্টি আইনে আফগানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪। রান তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা দারুণ শুরু করে। ২উইকেটে হারিয়ে তারা ৮৩ রান করলে আবার বৃষ্টি আসে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় রশিদ খানরা।
ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেন হৃদয়। অভিজ্ঞদের আসা যাওয়ার মিছিলে এই তরুণ তুর্কি ৬৯ বলে ৫১ রান করেন। তার ব্যাটে ভর করে কোনোমতে দেড়শ পার করে স্বাগতিক দল। তার আশা সামনের ম্যাচগুলোতে তার সতীর্থরা সহজ ভুল যদি না করে তাহলে বাংলাদেশ সিরিজ জিততে পারবে।
হৃদয় বলেন, ‘আমরা এখান থেকে খুব ভালোভাবে কামব্যাক করবো। এখানে যে সিলি মিস্টেকগুলো আমরা করেছি, এগুলো যত কমানো যায় আমি মনে করি সিরিজ জেতা এখনো সম্ভব যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি। আমরা অনেকেই আজকে আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি, শুধু এখান থেকে দুই-তিনজনে অবদান রাখতে পারি, আমরা ভালো কামব্যাক করবো।’
৮ জুলাই একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে দুই দল। সফরকারীরা ফুরফুরে মেজাজে খেলতে নামলে