ডেঙ্গু আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে -আতিকুর রহমান মুজাহিদ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ বলেছেন, একদিকে ডেঙ্গুতে মানুষ মরে, অন্যদিকে বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠে। সিন্ডিকেটের ফলে দেশের জনগন অসহায় হয়ে পড়েছে।

 

আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মেয়রের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। জুন-জুলাই থেকে ডেঙ্গু ব্যাপক প্রকোপ আকার ধারন করেছে। শুধু তাই না ডেঙ্গু আজ নগরবাসীর জন্য নিরব আতঙ্কের কারণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে ডেঙ্গু আজ মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি কর্পোরেশন সত্যিকার কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। দেশে বিভিন্ন মেঘাপ্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অথচ ডেঙ্গু মশার লার্ভা না জন্মানোর তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তেমন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ ভাগ কমে যেত।

 

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির ফলে সিটি করপোরেশন কোনো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেসব কীটনাশক নিয়ে এসেছে সেগুলো কাজে লাগেনি। বরং এসবের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। ৮০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, অথচ সে অনুযায়ী। চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্রয়োজন হয় স্যালাইনের, অথচ এ স্যালাইন নিয়ে একটি সিন্ডিকেট মহল পরিকল্পিত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সংকট দেখিয়ে পুঁজি করা হয়েছে। এই ব্যর্থ মেয়রকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং এর দায় ক্ষমতাশীল সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

 

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। সরকারের চিন্তা হলো কীভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতাকে দ্বীর্ঘায়িত করা যাবে। সরকার সমর্থকরা লুটপাট করে কানাডায় বেগমপাড়া তৈরি করেছে। সরকারদলীয় লোকেরা লুটপাট করে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘নানা সংকটে জর্জরিত এই দেশ এখন মহাসংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০২৪-এর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। সময়ের দাবী হলো, এদেশের জনগনের ভোটাধিকার আদায়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

 

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ্ তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম রফিকুল ইসলাম।

 

এইচ এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সর্বমহলের দেশপ্রেমিক ঈমানদার মানুষ আজ সরকারের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবী করা কোনো অন্যায় দাবী নয়। বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো থাকতে চায়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। আর সে আন্দোলনই হবে সরকার হটানোর আন্দোলন ।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এম এইচ মোস্তফা, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতী শওকত উসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম নাসির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান হিমেল, দাওয়াহ্ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কৃষিবিদ মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কাউসার আহমেদ, মহিলা ও পরিবার সম্পাদক এস এম মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, আন্দোলনে উপ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল গফুর, মুহাম্মাদ মহসিন হাওলাদার, মুহাম্মাদ কাউসার ফরাজী প্রমূখ।