খুলনার ডুমুরিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষণের শিকার তরুণী আদালতে জবানবন্দি প্রদানে করেছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান ওই তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে ওই তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়ে তিনি কী বলেছেন তা জানা যায়নি।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তরুণী ও তার মাকে বাড়ি থেকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিল। শুক্রবার আদালতে পাঠালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আজ বন্ধের দিন হওয়ায় আদালতের নির্দেশ পাইনি। তাই জবানবন্দিতে কী উল্লেখ করেছেন, আর সেই প্রেক্ষিতে আদালত কী আদেশ দিয়েছেন এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। আগামী রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি বলেন, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আবেদন করেন তরুণীর দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই। যিনি ওই তরুণীকে গত ২৭ জানুয়ারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে ওই তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করার অভিযোগ করা হয়।
এরপর নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তবে কোনো মামলা হয়নি। এরপর ৬ মার্চ তার ওই খালাতো ভাই বাদী হয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত মামলটি গ্রহণ করার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় র্যাব ও পুলিশ। পরে পুলিশ তরুণী ও তার মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সারারাত থানায় অবস্থানের পর শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।