ডিসি সম্মেলন শুরু মঙ্গলবার, উঠছে ২৬৩ প্রস্তাব

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago
ডিসি সম্মেলন নিয়ে কথা বলছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি)। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে।

বরাবরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। করোনার কারণে এবার ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। প্রথম দিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধান প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।

সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ডিসি সম্মেলনে এবার আমরা সবকিছু একটু পরিবর্তন করে দিয়েছি। এজন্য আমরা ওসমানীতে নিয়ে গেছি, যাতে পর্যাপ্ত স্পেস পাওয়া যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। শুধু ১৫ জন মন্ত্রী ও ১৫ জন সচিবকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।’

‘কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিব এসে স্টেজে বসবেন, জেলা প্রশাসকরা নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবেন।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘সম্মেলনে মোট ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।’

 

কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত, এ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রস্তাব ১৮টি। এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (১৬টি প্রস্তাব) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত (১৫টি) প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে।’

ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা, কোভিড ম্যানেজমেন্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আরও ব্যবহার ও ই-গভার্ন্যান্স আরও নিশ্চিত করা, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন। এ বিষয়গুলোই মূলত আলোচনায় আসবে।’

জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হার ছিল ৭৫ শতাংশ।’

করোনার মধ্যেও কেন ডিসি সম্মেলন জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন যেহেতু আমরা সবকিছু প্রযুক্তির উপর ছেড়ে দিতে চাই না। আমরা যখন ভিডিও কনফারেন্সিং করি তখন অফলাইনে ডেডিকেটেড ফ্রিকোয়েন্সিতে করি। সম্মেলন কিন্তু আমরা সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছি। পাঁচদিনের জায়গায় তিনদিন।’