ডিসিদের ২ ঘণ্টা থানায় থাকার নির্দেশ: ডিএমপি কমিশনার

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

থানার হয়রানি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সপ্তাহে ২-৩ ঘণ্টা থানায় থাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এলাকার উপ-কমিশনারদের (ডিসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এক চিঠিতে ঢাকার অপরাধ বিভাগের ডিসিদের এই নির্দেশ দেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় যে, নিরীহ অসহায় জনসাধারণের একটা বিরাট অংশ থানায় তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে না নেওয়া, অনাকাঙ্ক্ষিত কালক্ষেপণ করা হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ অনেক সময় অযথা হয়রানিমূলক আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাপ্য আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তাই থানায় সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবা প্রত্যাশীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে ওসিরা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি জোনাল এসি ও এডিসিরা সার্বক্ষণিক থানার কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।

আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডিসিরা তার আওতাভুক্ত প্রতিটি থানায় প্রতি সপ্তাহে অবস্থানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। সে অনুযায়ী থানায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অবস্থান করে থানার বাস্তব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।

এ বিষয়ে জানতে পক্ষ থেকে ডিএমপির একজন ডিসি, দুইজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এবং দুইজন সহকারী কমিশনারকে (এসি) ফোন দিলে তারা চিঠির বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যার আমাদের যে ধরনের নির্দেশনা দেবেন আমরা সেটি নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। আমি নিজেও আজ ৩ ঘণ্টা হাজারীবাগ থানায় অবস্থান করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির নতুন কমিশনার বলেন, ডিএমপির অধীনস্থ কোনো থানায় যদি জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও ভালো আচরণ না পায়, আমার সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসাবো প্রয়োজনে আমি নিজে থানায় বসে ওসিগিরি করব। এলাকার লোকদের কথা বলব।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরেই ঢাকার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের প্রয়োজনীয় ও কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশ ভীতি থেকে বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।