রাজধানীতে গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) হেফাজতে নিহত অাশরাফ অালীর (৪২) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার শরীরে অাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ, প্রফেসর ডা. সোহেল কবির ও প্রদীপ বিশ্বাস।
তদন্ত কমিটির প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, অাশরাফ অালীর পায়ে অাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া পেটের ভেতর নাড়ি পেছানো ছিল। তাই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে অারও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট অাসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ঢামেকের ২১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অাশরাফ। এর অাগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢামেকে নেয়া হয়।
অাশরাফ অালীর গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে। বাবা মৃত হাজী অাব্দুস সামাদ। রাজধানীর অদূরে অাশুলিয়ায় থাকতেন তিনি। পেশায় তিনি পুলিশের গাড়ি চালাতেন বলে জানা গেছে। তিনি তিন বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী শাহনাজ পারভিনের ঘরে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা অাক্তারের ঘরে এক মেয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি নিপা নামে অারও এক মেয়েকে বিয়ে করেন অাশরাফ। তৃতীয় স্ত্রী নাসিমাসহ ডিবি পুলিশের হাতে অাটক হন অাশরাফ। তবে কেন অাটক হন সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।