ডিবির ফাঁদ থেকে পালিয়েও বাঁচতে পারলেন না যুবক

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আবু বকর ওরফে সিদ্দিক (২৫) নামের এক যুবক ডিবি পুলিশের ফাঁদ থেকে বাঁচতে পালাতে গিয়ে ঘাটাইলের এক পুকুরে পড়ে আহত হন। বৃহস্পতিবার রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্র জানায়।

এ সময় মিলন (২৬) নামের অপর এক যুবক আটক হয়েছেন।

নিহতের পরিবার সূত্র বলছে, রাত থেকে তিনি নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার সকালে ডিবি পুলিশের কাছ থেকে সিদ্দিকের অসুস্থ থাকার খবর আসে। আরও পরে আসে মৃত্যুর খবর। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার রাতে ঘাটাইল থানার মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত আবুবকর ওরফে সিদ্দিক মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের ভবানীটেকি গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে। আটক মিলন পীরগাছা গরম বাজার এলাকার জনৈক আইনাল হকের ছেলে।

টাঙ্গাইল দক্ষিণ ডিবি পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘাটাইলের গৌরাঙ্গির কোলাহা গ্রামের আবুল হোসেন জুলুর মাদক ব্যবসায়ী ছেলে দুলালকে দিয়ে ফাঁদ পেতে গাঁজা কেনার নাম করে সিদ্দিককে ঘাটাইলে আনা হয়। সিদ্দিক এক কেজি গাঁজাসহ নিজ এলাকা গরম বাজারের বন্ধু মিলনকে নিয়ে ঘাটাইলে আসে।

তিনি জানান, দুলালের বাড়িতে ঢুকতেই ডিবি পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে মোটরসাইকেল রেখে পালাতে গিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ওই সময় মিলন ডিবির কাছে আটক হয়।

এদিকে নিহত সিদ্দিকের বাবা আবদুল বারেক জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার ছেলে নিখোঁজ ছিল। মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। সকালে ডিবি পুলিশ তার ছেলে অসুস্থ বলে মোবাইলে খবর দিয়ে তাকে নিয়ে আসতে বলে। আরও পরে তিনি সিদ্দিকের মৃত্যুর খবর পান। সারা দিন থানা পুলিশের কাছে ঘোরাফেরা করে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘাটাইল থানার মাধ্যমে সিদ্দিকের লাশ হস্তান্তর হয়।

নিহতের বাবা আবদুল বারেক, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেক ও মির্জাবাড়ী ইউপি সদস্য তোতা মিয়া লাশ গ্রহণ করে ঘাটাইল থানা থেকে মধুপুর থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাড়িতে নিয়ে গেছে।

ইউপি সদস্য তোতা মিয়া লাশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঘাটাইল থানার ওসি আজাহার আলী জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘাটাইল থানায় মাদক ও অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।