তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভবনটি ভাঙতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিনামাইট ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ভবন উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকলে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) থেকে ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে আমরা তাদেরকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিয়েছি। তারা মালামাল সরাচ্ছে। সরানো শেষ হলেই ভাঙার কাজ শুরু করবো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, দুইটি বেজমেন্টসহ ১৬ তলা ভবন। এটি ভাঙতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিনামাইট রেবুলেশন ব্যবহার করে ভবন ভাঙতে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।
ভবনটি সিলগালা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিলগালা করা হবে না। মালামাল সরানোর পর ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে৷’
‘ভাঙার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে পার্ট বাই পার্ট ডেকোরেশন খুলে নেয়া হবে, এরপর ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।’
এদিকে ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে দুই ঘণ্টার সময় বেধে দেন রাজউকের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন। কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবনটি দুটি বেজমেন্টসহ ১৬ তলা। বিজিএমইএ ব্যবহার করে চারটি তলা। বাকি জায়গা দুটি ব্যাংকসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তবে, আইনি জটিলতার কারণে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।