ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদনের শেষ তারিখ ১ আগস্ট

:
: ১ বছর আগে

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবেদনের শেষ তারিখ ১ আগস্ট।

দেশের সব পর্যায়ের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চালু হবে ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন যাতে সহজে করা যায়, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২১ জুন নতুন ওয়েবসাইট https://license.bb.org.bd চালু করেছে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মুহূর্তে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের লাইসেন্স দেবে। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদন করেননি কেউ।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য ওয়েবপোর্টাল চালুর পর এ পর্যন্ত কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এ সংক্রান্ত নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রস্তাবিত কোম্পানির নামে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা এবং প্রত্যেক স্পন্সরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা। কোনো ঋণখেলাপি এ ব্যাংকের স্পন্সর হতে পারবে না।  নীতিমালার নানা শর্ত পূরণ করে বিকাশ, নগদসহ এ জাতীয় কিছু প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লাইসেন্সের আবেদন পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা যাচাই-বাছাই করবে।

গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা অনুমোদন করা হয়। এই নীতিমালা ও ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে ব্যাংকের যাত্রা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ, ঋণ আবেদন, ঋণ অনুমোদন সবকিছুই হবে অনলাইনভিত্তিক।