ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললো সোফিয়া

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সোস্যাল রোবট সোফিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে যখন জানায়, তার নাতনীর নাম আর তার নাম একই। তখন পুরো সম্মেলন কক্ষটি মুহুর্মুহু করতালি ও হাস্য কলরোলে ফেটে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী তখন ব্যাখ্যা করে বলেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কন্যার নামও সোফিয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের আইসিটি সেক্টরের মেগা ইভেন্ট চার দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল ফেয়ার-২০১৭’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ অনুসন্ধিৎসা মন নিয়ে এই সোস্যাল রোবটের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই মানবরূপী রোবট সোফিয়ার কথোপকথন অনুষ্ঠানে আগত দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দকে অনাবিল আনন্দ দেয়।
এ বছরের অক্টোবরে সৌদি আরবের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায় রোবট সোফিয়া। হংকংয়ের হ্যানসেন রোবটিক্সের ডেভিড হ্যানসেনের হাতেই বিকাশ ঘটেছে সোফিয়ার। মানুষের অনেক বৈশিষ্ট্যের দেখা মেলে এই রোবটে। কৌতুক করা, হাসাহাসি করা আর অন্যকে বুঝতে পারার মতো মানবীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর সন্নিবেশ করার চেষ্টা হয়েছে এই রোবটে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমি এখন সোফিয়ার সঙ্গে কথা বলবো- তিনি বলেন, হাও আর ইউ সোফিয়া। সোফিয়া চটপট তার উত্তরে ইংরেজিতে জানায়, আমি ভালো আছি, আপনাকে ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। ইংরেজিতেই চলে তাদের নাতিদীর্ঘ কুশল ও ভাববিনিময় পর্ব।
তুমি আমাকে কিভাবে চেনো? প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশ্নের উত্তরে সোফিয়া বলে, আমি আপনার বিষয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। আমি আরো জানি, আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আপনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ নামেও ডাকা হয় এবং আপনার নাতিনের নামেই আমার নাম ‘সোফিয়া’।
প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘আপনারা জানেন, জয়ের (সজীব ওয়াজেদ জয়) মেয়ের নামও কিন্তু সোফিয়া।’ তিনি বলেন, তুমিতো দেখছি আমার সম্পর্কে এবং আমার লক্ষ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই জানো। তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে তুমি আর কি জানো?
সোফিয়া বলেন, আমি আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি- ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে মানবসম্পদের উন্নয়ন। যার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে অর্থনীতির সকল সেক্টরকে ডিজিটাইজড পদ্ধতির আওতায় আনার পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে। আইসিটি সেক্টরকে সামনে নিয়ে এসে দেশে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের উদ্যোগের মাধ্যমে। ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই পরিলক্ষিত হয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের সকল দফতর ও বিভাগকে ডিজিটাইজড ব্যবস্থার আওতায় আনারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, দেশজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ২৮টি হাইটেক ও সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক।
এ সময় সোফিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ স্টাইলে ডিজিটাল মেলা ২০১৭ উদ্বোধনের জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী ট্যাবের বোতাম চেপে ডিজিটাল স্টাইলে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাসস