মুড়িমুড়কির মতো উইকেট পতনের আক্ষরিক এক উদাহরণই সৃষ্টি করলো বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ছুড়ে দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্যাভিলিয়নে ফেরার জন্যই যেনো উইকেট আসছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। একটি উইকেট পতনের পর আরেকটি যেতে সময় লাগেনি একদমই।
ডারবান টেস্টের পঞ্চম দিন সবমিলিয়ে মাত্র ৫৫ মিনিটেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে সর্বসাকুল্যে ৫৩ রান। ইতিহাস গড়ার মিশনে নেমে উল্টো ২২০ রানের বিশাল পরাজয়ে ভাঙলো বাংলাদেশের স্বপ্ন। একইসঙ্গে হয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ড।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এর আগে কখনও এতো কম রানে অলআউট হয়নি বাংলাদেশ দল। ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পচেফস্ট্রুম টেস্টে স্বাগতিকদের দেওয়া ৪২৪ রানের টার্গেটে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
এতোদিন ধরে এটিই ছিল চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। পাঁচ বছর পর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সেই বিব্রতকর রেকর্ডটি নতুন করে লিখলো মুমিনুল হকের দল। এবার ২৭৪ রানের লক্ষ্যে তারা থেমেছে মাত্র ৫৩ রানে।
বলা বাহুল্য, ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এ দুইবারই শুধু ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের ৫৩ রানে অলআউট করার পথে মাত্র ৩২ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন কেশভ মহারাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি।
সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ডারবান টেস্টের এই ৫৩ রান। ২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৪৩ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড। এ নিয়ে ১২ বারের মতো ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ।
নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ হলেও, ডারবানের কিংসমিডে ঠিকই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জায় পড়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর ৬৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। প্রায় ২৬ বছর পর তাদের মুক্তি দিয়ে ৫৩ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ।