ডমিঙ্গো যোগ্য কিনা প্রশ্নে মুখে কলুপ এঁটেছেন মাহমুদউল্লাহ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে প্রশ্নটা অবধারিত উঠত। বিশেষ করে সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা যখন সমালোচনা করে যাচ্ছিলেন তখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ছিল। রাসেল ডমিঙ্গো কি বাংলাদেশ দলের জন্য যোগ্য?

মাশরাফি সরাসরি বলেছিলেন, ‘এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার, যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসঙ্গে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে।’ দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও এমন ভাবনা থাকা অস্বাভাবিক নয়।

কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচ ইস্যুতে মুখে কলুপ এঁটেছেন অধিনায়ক। তার দাবি, ‘এটা (কোচ যোগ্য কিনা) আমার পক্ষে বলা কঠিন।’ পরবর্তীতে যোগ করেন, ‘আমি যতটুকু বুঝি যে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোন সমস্যা নেই বা খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফদের মধ্যেও কোন সমস্যা নেই। রাসেল ডমিঙ্গোর বিষয়টি পুরোপুরি ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।’

নিজের দায়িত্ব এবং সীমাও মনে করিয়েছেন তিনি, ‘অধিনায়ক বা সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আমার দায়িত্ব দলের খেলোয়াড়দের সমর্থন করা, তাদের আগলে রাখা বা তাদের অনুপ্রাণিত করা, তাদের কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্স আদায় করে নেওয়া। এসব দিকেই আমার মনোযোগ। এর বাইরে কিছু না।’

ডমিঙ্গোর সামর্থ্য নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ দলকে সামলাতে পারছেন কি না। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের খোলনলচে পাল্টে দেওয়া কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে অনেকেই বাংলাদেশ দলের জন্য আদর্শ মানেন। হাথুরুসিংহে খেলোয়াড়দের কড়া শাসন ও ড্রেসিংরুম শান্ত রাখার কাজটা ভালো পারেন। সেরকম একজন কোচ বাংলাদেশের জন্য দরকার কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘প্রতিটা কোচেরই ভিন্ন আদর্শ থাকে কোচিং করানোর। ওটা তো আসলে আমি বলতে পারব না। তাদের ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। আপনি যেটা বললেন, হাতুরাসিংহের সময়ে একটু বকাঝকা হতো বা তিনি ড্রেসিংরুমটা শান্ত রাখার চেষ্টা করতেন। একেক কোচের একেক রকম পরিকল্পনা ও আদর্শ থাকে। ওটা নিয়া আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’

বৈশ্বিক মঞ্চে ব্যর্থ হলে দেখা যায়, কোচদের ছাঁটাই করা হয়। তবে ডমিঙ্গো এবার বাদ পড়ছেন না। উল্টো নতুন করে তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে বোর্ড।