‘ডট’ বল আর রশিদ ‘জুজু’তে ৮ উইকেটে ১৩৪

:
: ৬ years ago

আবারও সেই চিত্র। প্রথম ম্যাচটা নিদারুণ ব্যর্থতায় হারলেও পাল্টায়নি দৃশ্য। শ্লথ ব্যাটিংয়ের চাপে পড়ে দ্রুত উইকেট বিসর্জন এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারা—টি-টোয়েন্টিতে এই তো বাংলাদেশ!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরলেন লিটন দাস (১)। এরপর ধীরে ধীরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ব্যাটিং অর্ডার। তামিম ইকবাল একা লড়েছেন কিছুক্ষণ। কিন্তু ১৬তম ওভারে তামিম (৪৩) ফেরার পর লড়াকু স্কোরের স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের সাদামাটা স্কোর গড়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
কোনো ফিফটি নেই। চল্লিশোর্ধ্ব রানের একটি ইনিংস খেলেছেন শুধু তামিম। বাংলাদেশের ব্যাটিং কতটা ভঙ্গুর ছিল তা বোঝাতে একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যায়—১২তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ বাউন্ডারি মারার পর টানা ৪০ বল ব্যাটসম্যানেরা কেউ বাউন্ডারি মারতে পারেনি! ১৮.৪ ওভারে করিম জান্নাতকে ছক্কা মেরে এই গেরো কাটান আবু হায়দার। পরের বলেও চার মারেন এই পেসার।
রশিদ খানের করা ১৬তম ওভার ছিল ভয়াবহ। প্রথম বলেই সাকিবকে (৩) ফেরানোর পর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে তামিম ও মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন আফগান এই লেগি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ বোলারের হ্যাটট্রিকটা আবু হায়দার হতে দেননি। শেষের দিকে তাঁর ১৪ বকলে ২১ রানের ইনিংসে ১৩০ রানের কোটা টপকাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া রশিদের স্পিন ‘জুজু’তে এ ম্যাচেও ভুগেছেন ব্যাটসম্যানেরা। ১১তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন তিনি। তার আগেই ১০ ওভারে ৮১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পথভ্রষ্ঠ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল বাংলাদেশ। রশিদ এসে তা নিশ্চিত করেছেন মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে! ১৬তম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকারকে। সৌম্য আজ সাতে ব্যাটিংয়ে নেমেও মাত্র ৩ রান করে হতাশ করেছেন।
১৫তম ওভার থেকে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার কোন পথে হেঁটেছে তা বোঝা যাবে এই পরিসংখ্যানে—১৫.১ ওভারে সাকিব যখন আউট হন বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১০১। এখান থেকে ৭ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে সাকিবের দল। ৪ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেট নেন রশিদ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ৫৩টি ডেলিভারি ‘ডট’ দিয়েছেন।