ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারালেন জবি ছাত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

দরিদ্র ঘরের সন্তান রুবিনা খাতুন (২২)। মেধাবী ছাত্রী। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের শেষ বর্ষে। একটি ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি ও প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ যোগার করেন। থাকেন মেসে। ক’দিন ধরে অসুস্থ। তাই রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন।

কিন্ত বাড়ি পৌঁছার আগে দুপুর সোয়া একটার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে তার দুই পা। পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় তাকে।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, কমলাপুর রেল স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম থেকে রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে যাওয়ার সময় লাইনে পড়ে যান তিনি। এসময় একটি ইঞ্জিন তার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার দুটি পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুবিনার বাবা রবিউল ইসলাম ছিলেন দিনমজুর। ২০১৪ সালে মারা গেছেন তিনি। সম্বল বলতে চাষের দেড় বিঘা জমি। তারা দুই বোন ও এক ভাই। বোনের মধ্যে তিনি ছোটো। বড় বোন জুলেখা খাতুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, বাড়িতেই থাকেন। ছোট ভাই রুবেল রংপুরে একটি কলেজে অনার্সের ছাত্র।

রুবিনার মা রহিমা খাতুন জানান, কয়েকদিন ধরে রুবিনা অসুস্থ। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মেস থেকে বের হওয়ার সময় মেয়ে তাকে ফোন দিয়ে বলে, মা বের হয়েছি। দুই ঘন্টা পর এক পুলিশ সদস্য রহিমাকে ফোনে দুঃসংবাদটি জানান। রহিমা বলেন, ‘মেয়েকে নিয়েই স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।’ মোবাইল ফোনে সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।