চিঠিতে ক্যাপিটাল লেটার (বড় হাতের অক্ষর)-সংক্রান্ত তিনি ১১টি ভুল শব্দ পেয়েছেন, সেসব শব্দের মধ্যে ‘প্রেসিডেন্ট’ এবং ‘স্টেট’-এর মতো শব্দ রয়েছে। চিঠিতে এগুলো ক্যাপিটাল লেটারে লেখা হয়েছিল। ইংরেজির সাধারণ নিয়ম অনুসারে এগুলো স্মল লেটারে (ছোট হাতের অক্ষর) লেখা হয়, যদি না শব্দগুলো কোনো নাম বা পদের আগে বসে।
মার্কিন সরকারের ইংরেজি স্টাইল বুকে অবশ্য শব্দগুলো ক্যাপিটালে লেটারে লেখার কথা বলা আছে।
আটলান্টায় বসবাসকারী মিসেস মেইসন একজন ডেমোক্র্যাট। ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কল্যান্ডের স্কুলে গুলিতে নিহত ১৭ জনের সবার পরিবারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেখা করার অনুরোধ জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া চিঠিটা ছিল মূলত মিসেস মেইসনের ওই চিঠির জবাব। কিন্তু উত্তরটি দায়সারাগোছের বলে মনে করেন তিনি।
ট্রাম্পের চিঠির সঙ্গে এই শিক্ষক রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহামের চিঠির তুলনা টানেন। তিনি জানান, ওই চিঠিগুলো নির্ভুলভাবে লেখা হতো এবং তা ছিল বিষয়ঘনিষ্ঠ।
মিসেস মেইসন মনে করেন, চিঠিটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেননি; বরং হোয়াইট হাইসের কোনো কর্মী লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন আপনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কারও কাছ থেকে কোনো চিঠি পাবেন, সেটাতে কোনো ব্যাকরণগত ভুল আপনি দেখতে চাইবেন না।’
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্যাকরণগত ভুল করে প্রচুর হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
ট্রাম্পের টুইটে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নামের বানান পর্যন্ত ভুল ছিল। এ ছাড়া ‘রিডিকুলাস’, ‘পলিটিশিয়ান’—এসব বানানও ভুল করেছেন তিনি।