চলতি বছরের ১০ মাসে অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২ লাখ ২৬ হাজার ১১৯ জনকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আগের বছরের তুলনায় গ্রেফতারের হার ৪০ শতাংশ বেড়েছে এবং বহিষ্কারের হার বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে ৫ ডিসেম্বর এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ধর-পাকড় এবং বহিষ্কারের অভিযান অব্যাহত থাকায় ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, টেক্সাস, ওয়াশিংটন অঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে বেআইনীভাবে প্রবেশের প্রবণতাও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দুর্গম এলাকা দিয়ে প্রবেশের সময় মোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৯১৬ জনকে গ্রেফতারের পর ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৭০ জনকেই সাথে সাথে সীমান্তের ওপাড়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে। অন্যরা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার আবেদন করায় তা বিবেচনার জন্য ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
আমেরিকাকে নিরাপদ করার যে অঙ্গীকার ডোনাল্ড ট্রাম্প করেছেন, সে আলোকেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন উইং মাঠে নেমেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইন লংঘনকারিদের সমুচিত শাস্তির বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে। এ মন্তব্য করেছেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইলেইন ডিউক। তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমের প্রবণতা ৩০ শতাংশ হ্রাসের মধ্য দিয়েই চলমান অভিযানের সার্থকতা আসছে। ইমিগ্রেশন আইন সমুন্নত রাখার দায়িত্ব নিয়েই আমরা কাজ করছি।
সামাজিকভাবে যারা ক্রিমিনাল, অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিংবা অভিযুক্ত অবৈধ ইমিগ্র্যান্টরা রেহাই পাবে না। এজন্যে সকলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের উপ-পরিচালক টমাস হোম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযান পরিচালনায় ফেডারেল প্রশাসনের আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তা অব্যাহত থাকলে সকল অপরাধী-অবৈধকে পাকড়াও করা সহজ হবে। এই অভিযান আমরা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। কারণ, অবৈধভাবে বসবাসরতদের মধ্যে গুরুতর অপরাধীর সংখ্যাও অনেক। এরা সমাজে সন্ত্রস্ত্র পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির গোয়েন্দারা উপরোক্ত সময়ে ৩২ হাজার ৯৫৮ ক্রিমিনালকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৫২৪ মিলিয়ন ডলারের বেআইনি দ্রব্য-সামগ্রী। এর মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে নগদ অর্থ।