ধর্মের নামে অত্যাচারিত হয়েছেন এমন বিভিন্ন দেশের মানুষদের নিয়ে তৈরি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার নিজের ওভাল অফিসে দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে বিভিন্ন দেশে নিপীড়নের শিকার হওয়া লোকজনের পক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সেখানে এক নারী নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে ট্রাম্পকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই থাকতে চাই।
ওই নারী আরও বলেন, এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। সেখানে আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমাও দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এর কোন বিচার হয়নি।
ওই নারীর এমন বক্তব্যের পর ট্রাম্প বলেন, কারা জমি দখল করেছে, কারা ঘরবাড়ি দখল করেছে? তখন ওই নারী বলেন, মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সবসময়।
তবে ট্রাম্পের কাছে করা ওই নারীর এমন নালিশের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন এমন ঘটনার কোন সত্যতাই পাওয়া যায়নি। বরং এদেশে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সম্প্রীতি রয়েছে। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করেন।
বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া ওই নারীর এমন বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমেও ঝড় বয়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, ওই নারী এমন বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অনেকেই বলছেন, এমন মিথ্যা কথা তিনি কীভাবে বললেন। সামাজিক মাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটা দেখি ঘষেটি বেগম। অপর একজন লিখেছেন, এটা কাদের চাল হতে পারে বুঝলাম না।
অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার চোখে কি দেখলাম আর কি শুনলাম। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। মানুষ এতটা অকৃতজ্ঞ, বেইমান, রাজাকার, নিকৃষ্ট আর দেশদ্রোহী কেমনে হয়? আমাদের দেশে কোন দিন শুনি নাই জোর করে কাউকে কালেমা বা গরুর গোস্তো খাওয়াতে। মুসলমানদের কাছে অমুসলিমরা যতটা শান্তিতে আছে সেটা অমুসলিম দেশেও নাই। ইন্ডিয়া একটা হিন্দু দেশ সেখানেও দলিত হিন্দুদের পিটায়া মারে, মন্দিরে ঢুকতে দেয় না। সাইকেল পর্যন্ত চালাতে পারে না। এরা আমাদের দেশকে নিয়া কি ষড়যন্ত্র করে?