টি-টোয়েন্টি কাপে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়াই মূল লক্ষ্য মুশফিকের

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

টানা দুইবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের। তবে আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান এই ব্যাটসম্যান। তবে আপাতত তার প্রথম লক্ষ্য সেরা চার নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলেছিলেন মুশফিক। সেবার ফাইনালে উঠেছিল মুশফিকের দল। শিরোপার এতো কাছে থেকেও যেন একটুর জন্য ছোঁয়া হয়নি এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের। শুধু বিপিএল কিংবা জাতীয় দলই নয়, শেষবার ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেই টুর্নামেন্টেও ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে মুশফিককে।

বিপিএলের মতো আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকাকে নেতৃত্ব দিবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে সব দলের অধিনায়কই চান শিরোপা জিততে। সেটির ব্যতিক্রম নন মুশফিকও। প্রধান লক্ষ্য টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলেও মুশফিক এগোতে চান ধীরে ধীরে। আর তাই প্রথমে সেরা চার নিশ্চিত করতে চান ঢাকার এই অধিনায়ক।

“দেখুন প্রত্যেক টুর্নামেন্টেই একটা সুযোগ থাকে। শেষ দুইটা টুর্নামেন্ট যেটা খেলেছি বিপিএল এবং প্রেসিডেন্টস কাপে হয়তো বা একটা হার্ডেলের কারণে পারিনি। একই সঙ্গে আমার মনে হয় এটা একটা কনসিসটেন্সি যে আমি যে দুইটা টুর্নামেন্টে খেলেছি দুইটাই ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “তবে এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে টপ ফোরে যেন যেতে পারি। অবশ্যই তারপর যাতে ফাইনালটা খেলতে পারি। এরপর যেটা বললেন আল্টিমেটলি লক্ষ্য তো হচ্ছে চ্যাম্পিয়নশীপ।  সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য আছে। আশা করছি শুরুটা যাতে ভালো করতে পারি।”

টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হচ্ছে লোকাল ক্রিকেটারদের নিয়ে। স্থানীয় ক্রিকেটাররা একে-অপরের সঙ্গে বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। যার কারণে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা খুঁজতে বেশি সমস্যা হবে না অধিনায়কদের। তবে মুশফিক মনে করেন মাঠের কাজটা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই সাফল্য পাবে দল।

“সহায়ক তো অবশ্যই। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন  লোকাল প্লেয়ার আমরা কিন্তু অলমোস্ট কম বেশি সবারই জানি। পার্টিকুলার ডে তে কি এক্সিকিউশন করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় যারা কম ভুল করবে এবং মাঠে এক্সিকিউশনটা ভালো করবে, তারাই সবচেয়ে রেজাল্ট ভালো করবে। আমি মনে করি সেদিক থেকে আমাদের ব্যালেন্সটাও খুব ভালো আছে। আমাদের এখন মাঠের কাজটা মাঠে করতে হবে।”