টিপুকে যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাসুম

:
: ২ years ago

রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় মো. মাসুম ওরফে আকাশ নামে এক শুটারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবি বলছে, ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর জাহিদুল ইসলাম টিপুর রেস্টুরেন্টের কাছে যান মাসুম। সেখানে অনেক লোকজন থাকায় গুলি করতে না পেরে টিপুর গাড়ি অনুসরণ করতে থাকেন। টিপুর গাড়ি শাহজাহানপুর রেল লাইনের আগে আমতলা সংলগ্ন রাস্তায় যানজটে আটকা পড়লে টিপুকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি করা হয়।

রোববার (২৭ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) এ কে এম হাফিজ আক্তার এই তথ্য জানান।

হাফিজ আক্তার জানান, মাসুমের নামে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। এসব হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও নানা সুবিধার আশায় টিপুকে হত্যা করেছে।

হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেফতার হওয়ার পরও মাসুম বিশ্বাস করতে পারেনি সে গ্রেফতার হচ্ছে। তার ধারণা ছিল সে গ্রেফতার হবে না। তবে সিসি ক্যামেরায় প্রাপ্ত ছবি ও তথ্য উপাত্ত বিবেচনায় আমরা তাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। সে সুঠাম দেহের অধিকারী। তার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রী ও পরিবার রয়েছে। বিভিন্ন মামলা ও সমস্যার কারণে সে এলাকায় যেতে পারত না। পুরাতন মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সে এমনটা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার মাসুম ঘটনার আগের দিন ২৩ মার্চ টিপুকে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় যাওয়ার রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু বেশি লোকজন থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর ২৪ মার্চ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাসুমকে জানায় টিপু তার অফিসে (রেস্টুরেন্ট) অবস্থান করছে। এই সংবাদ পেয়ে মাসুম টিপুর রেস্টুরেন্টের কাছ থেকে টিপুকে অনুসরণ করে গুলি করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু টিপু অনেক লোকজনের মধ্যে থাকায় গুলি করতে না পেরে টিপুর গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে।

তিনি জানান, গুলি করার পর তার দুই বন্ধুর সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে আত্মগোপনে থাকে। তবে সে জানায় প্রীতি হত্যা তার পরিকল্পনায় ছিল না। পরে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিকশার যাত্রী প্রীতি এবং টিপুর মৃত্যুর সংবাদ দেখতে পায়।

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সহযোগী অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।