নিজে টিকা না নিয়ে অন্যকে অভয় দিয়ে ‘ফটো’ তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)। তার এমন একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ওঠে।
জানা গেছে, সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ও সব উপজেলায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়া, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।
টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণার পর কয়েকজন টিকা গ্রহণ করেন। এ সময় ফটোসেশন করা হয়। এই ফটোসেশনের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স এমপি শিউলি আজাদকে টিকা দিচ্ছেন, এমন ভান করে আছেন তিনি। কিন্তু আসলে তিনি টিকা নেননি। ছবিটিতে এমপি ও নার্স ছাড়াও আরও অন্তত ১০ জনকে দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নোমান মিয়াকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমপি শিউলি আজাদ বলেন, ‘আমি আজকে টিকা দিইনি। সেখানে উপস্থিত থাকা নার্সরা হাতে ধরে ঢং করছিল। তারা (নার্সরা) বলছিল, আপনাকে দিয়ে দিই। তারা মজা করে বলায়, আমিও বললাম দেন দেন। এ সময় আবার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম টিকা দিতে আসছিলেন। তিনি ভয় পাচ্ছিলেন টিকা নিতে। আমি তাকে অভয় দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলাম, ভয়ের কিছু নেই এইভাবে টিকা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় কেউ ছবি তুলেছে। এটা তো আনঅফিসিয়াল। একজনকে দেখিয়ে দেয়া কি ভুল ছিল? এখন বিষয়টি আপনারা নেগেটিভলি কতো কিছুই নিতে পারেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় টিকা নিতে রোববার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৩ হাজার ১৯ জন। এরমধ্যে সরাইল উপজেলায় ৪৬০ জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন।