হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে রোববার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেছে। তবে টার্মিনালের আশেপাশের সড়কে দূরপাল্লার বিভিন্ন বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এসব বাসে কোনো যাত্রী দেখা যায়নি।
বাসচালকরা জানিয়েছেন, তারা পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের নির্দেশে বাসগুলো সড়কে এনে রেখেছেন। যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস কোথাও যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে নাবিস্কো পর্যন্ত সড়কে ‘যাত্রীবিহীন’ বাসের দীর্ঘ সারি। এসব বাসের জন্য সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু এই জটলা কমাতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।
শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহের যে বাসগুলো সড়কে রাখা হয়েছে, তার কোনোটিতেই যাত্রী নেই। তবে চালকরা নিজ নিজ আসনে বসে রয়েছেন। অন্যদিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেছে।
ময়মনসিংহগামী একটি বাসের চালক রাজন মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের নির্দেশে তারা বাসগুলো সড়কে রেখেছেন। কিন্তু সকাল থেকে বেলা১১টা পর্যন্ত একটি বাসও যাত্রী নিয়ে ঢাকার বাইরে যায়নি, আসেওনি। এভাবে বিকেল পর্যন্ত বাস নিয়ে রাস্তায় থাকতে হবে।’
শনিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা শহর ও শহরতলী এবং আন্তঃজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালিক সমিতি জানায়, হরতালে ঢাকা শহর ও শহরতলীর সকল রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে। তবে রোববার খন্দকার এনায়েত উল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে ঢাকা, হাটহাজারী ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি। তাদের ডাকা হরতালে সমর্থন দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কিছু ইসলামী দল।