ঠিক আগের ম্যাচেরই পূনরাবৃত্তি যেন। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮৪ রান করেছিলেন মুশফিক। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী মঞ্চে উঠলেন দু’জনই। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। আর ম্যাচের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার ছিলেন মিরাজ।
দ্বিতীয় ম্যাচ শেষেও ঠিক একই চিত্র। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে মুশফিক। তার পাশে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে মিরাজ। দু’জনের এই ছবিটা যেন একটি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মত। কারণ, তাদের পারফরম্যান্সেই তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এলো প্রথম সিরিজ জয়।
আজ বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, তখনই ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হন মুশফিক। ঠিক আগের ম্যাচের মত। গত ম্যাচে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন। এবার আর ভুল করলেন না। ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১২৫ রান করে আউট হন মুশফিক।
তার অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাধে ২৪৬ রানে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই অভিষিক্ত শরিফুলের বলে প্রথম ধাক্কা খায়। কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল। এরপর সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ চেপে ধরেন লঙ্কানদের। মিরাজই মূলতঃ লঙ্কান ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন।
১০ ওভারে দিলেন মাত্র ২৮টি রান। উইকেট নিয়েছেন তিনটি। মোস্তাফিজুর রহমানও ৩টি উইকেট নেন। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মিরাজের ৩ উইকেটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে ম্যাচ শেষে তার হাতে আবারও উঠলো মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার।