বিপিএল ঢাকা পর্বের প্রথম আট ম্যাচ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি)। পরবর্তী গন্তব্য সিলেট। সিলেট পর্বের খেলা শুরু হবে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট ম্যাচ হবে ১৪টি। ততদিনে বিপিএলের অর্ধেক খেলা শেষ হয়ে যাবে। এরপর ম্যাচ গড়াবে রাউন্ড রবিন লিগের ২০ ম্যাচের দিকে। যদি ধারণা নেওয়া হয় যে, কোন চারটি দল কোয়ালিফায়ার খেলবে। তবে ঢাকায় প্রথম আট ম্যাচের দিকে তাকালেই খানিক ধারণা পাওয়া যাবে। ঢাকায় যা হলো তা যদি সিলেটে হয় তাহলে ব্যাট-বলের লড়াই থেকে টসটাই মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ঢাকা আট ম্যাচে প্রতিটিতেই যারা টস জিতেছে তারাই ম্যাচ জিতেছে। টস জিতে বিজয়ী দল বোলিং নিচ্ছে। প্রতিপক্ষকে ভালো বোলিংয়ে আটকে রেখে লক্ষ্য তাড়া করে পরবর্তীতে জিতে নিচ্ছে ম্যাচ। দিনে ও রাতের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে শিশির। দিনের ম্যাচে রান হচ্ছে না। রাতের ম্যাচে রান হচ্ছে। শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করতে কষ্ট হচ্ছে রাতে। বল স্কিড করে সহজেই ব্যাটে যাচ্ছে। শট খেলা সহজতর হচ্ছে। রাতে সেই সুযোগটি থাকলেও দিনের ম্যাচে তা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্কিলের ঘাটতির কথাই বলছেন ক্রিকেটাররা।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রথম দুদিনে দিনের ম্যাচে রান ছিলো যথাক্রমে ১৪৩ ও ১৩৪। একদিন বিরতির পর গত সোমবার প্রতিযোগিতা মাঠে গড়ালে দিনের ম্যাচে আবারো রান হয়নি। দুরন্ত ঢাকা আগে ব্যাটিং করে ১৩৬ রান করে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ জিতে নেয় ১০ বল হাতে রেখে। শেষ দিন সিলেট স্ট্রাইকার্স রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করে কেবল ১২০ রান। যা এখন পর্যন্ত এই বিপিএলে সর্বনিম্ন।
পঞ্চম ম্যাচের পর থেকে উইকেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যেখানে দুই দলের প্রতিনিধিই জানিয়েছেন, উইকেট নয়, স্কিলের ঘাটতির কারণেই রান হচ্ছে না দিনের ম্যাচে। দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘উইকেট এবার ভালো। দোষটা আমাদেরই (রান করতে না পারা)।’ তানজিদ তামিম বলেছেন, ‘আমরা বাজে ব্যাটিং করেছিলাম।’
গতকাল সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও বলেছেন একই কথা, ‘উইকেট খুব বেশি খারাপ ছিল তা না। আমার কাছে মনে হয় না। কারণ, আমাদের ফরেন দুইজন যারা পরে ব্যাটিং করেছে তারা কিন্তু অ্যাডাপ্ট করতে পেরেছে। সো ২০-২৫ রানের যে গ্যাপটা ওইটা আর্লি স্টেজে আমরা পূরণ করতে পারি নি। উইকেট তো ম্যাটার করেই। ওইটা অ্যাডজাস্ট করেই খেলতে হবে।’
আট ম্যাচে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখা যায়নি। শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ও বরিশালের ম্যাচেই যা প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছিল। এছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে অসম লড়াইয়ে তেমন উত্তেজনা ছড়ায়নি, রোমাঞ্চও হয়নি। তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল মুশফিকুর রহিমই যা ভালো করেছেন। পরপর দুই ম্যাচে পেয়েছেন ফিফটি। কুমিল্লার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৬২ ও খুলনার বিপক্ষে ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন।
তামিম প্রতি ম্যাচে ভালো শুরু পাচ্ছেন তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি একটাতেও। মাহমুদউল্লাহ দলের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন তবে বড় কিছু করতে পারেননি। এদিকে সাকিব আল হাসান এক ম্যাচ খেলে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। আনফিট মাশরাফি রয়েছেন আড়ালে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন, তাওহীদ, শান্তরা এখনো পারেননি জ্বলে উঠতে।
বোলারদের মধ্যে শরিফুল প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন। তাসকিনও সেই ম্যাচে সাফল্য পান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুজনকেই উল্টোরূপ দেখতে হয়েছে। সিলেটের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। সেখানে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তা বলতে দ্বিধা নেই। ফলে কয়েকটি রান ফোয়ারার ম্যাচ হবে আশা করাই যায়। আসরে সিলেট বাদে সবগুলো দলই একটি করে জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে সিলেটের ভাগ্য ফিরবে তো?
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com