টমটমে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর, কনেকে নিয়ে ঘুরলেন ৭ গ্রাম

:
: ২ years ago

হেলিকপ্টার কিংবা দামি গাড়ি নয়; টমটমে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। সৌদি প্রবাসী ওই বর শুধু টমটমে চড়েই বিয়ে করতে আসেননি, নববধূকে নিয়ে ঘুরেছেন সাতটি গ্রাম। বিষয়টি স্থানীয়দের নজর কেড়েছে।

বর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মিঠুন। কনে মেহেরপুর সদর উপজেলার কালীগাংনী গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে পিংকী।

একসময় নবাবি বাহন ছিল টমটম। বছর বিশেক আগেও টমটমের প্রচলন ছিল। কালের বিবর্তনে আর যানবাহনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন তা হারিয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে দু-একজন টমটমে চড়ে বেড়াতে বের হন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) টমটমে চড়ে বিয়ে করতে আসেন মিঠুন। বিয়ের সব পর্ব শেষে বর- কনেকে ঘোরানো হয় সাত সাতটি গ্রাম। টমটমে বর ও নববধূকে দেখতে মানুষের ভিড় জমে রাস্তার দুপাশে।

বর মিঠুন বলেন, বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য টমটমে চড়ে তিনি বিয়ে করতে আসেন। বিয়েতে টমটম গাড়ির ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে যুবসমাজকে টমটমে বিয়ের আহ্বান জানান এ সৌদি প্রবাসী।

মিঠুনের বাবা আলী হোসেন জানান, তার তিনটি সন্তান প্রতিবন্ধী। সব শেষে মিঠুন ভূমিষ্ঠ হলে ছেলেকে টমটমে চড়িয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনুযায়ী বিয়ের আয়োজন করা হয়।

গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, আগে রাজা-বাদশা কিংবা জমিদার বাবুরা টমটমে চড়ে বেড়াতে কিংবা বিয়ের কাজটি সারতেন। যান্ত্রিকতার যুগে সেসব এখন বেমানান। তবুও গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ বাহন আজও টিকে আছে, তবে তা অপ্রতুল। মিঠুনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি।