ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকসী হান্ডাকে বাংলাদেশের ‘টপ মোস্ট গ্লোবাল এইচআর লিডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মানবসম্পদ সংশ্নিষ্ট পেশাজীবীদের খ্যাতনামা সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’। নামকরা আরো দুই সংগঠন- ‘সিএইচআরও গ্লোবাল’ এবং ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এইচআর প্রফেশনালস’ এই সম্মাননার অনুমোদন দিয়েছে।
উদ্দেশ্য-চালিত নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষত: বাংলাদেশে অসাধারণ অবদান রাখা ও পেশাদার জীবনে ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সাকসী হান্ডাকে মর্যদাপূর্ণ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আগামী মার্চে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ৩০-তম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে সাকসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান।
১৭ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ সাকসী হান্ডা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। ভারত ও বাংলাদেশে ইউনিলিভারের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রায় ১৫ বছরের। দীর্ঘ এই সময়ে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব সম্পর্কে প্রগাঢ় দক্ষতা অর্জন করেছেন সাকসী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইউনিলিভারের টিম পরিচালনার ক্ষেত্রেও দারুণ অবদান রেখে চলেছেন।
তার বৈচিত্র্যময় পেশাদার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মধ্যে ‘বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’, ‘অধিগ্রহণ ও একত্রীকরণ’, ‘চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট’, ‘ক্যাপাবিলিটি অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট’, ‘এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট’, ‘এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড অ্যান্ড রিওয়্যার্ডস’ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
‘ডিপিএস আরকে পুরাম’ এর গর্বিত সাবেক শিক্ষার্থী সাকসী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্দ্রাপ্রাস্থা কলেজ ফর উইম্যান’ থেকে স্নাতক এবং মুম্বাইয়ের স্বনামধন্য ‘টাটা ইন্সটিটিউট অব সোস্যাস সায়েন্স’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাকসী হান্ডা ইউনিলিভারে কর্মরত মেধাবী তরুণদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি তার মূল্যবোধ, সাহসিকতা, কৌতূহল, পরিচর্যা ও যোগাযোগ দক্ষতায় অনুপ্রেরণাদায়ীর ভূমিকাও পালন করছেন।
হৃদয় দিয়ে মানুষকে উপলব্ধি ও মেধা দিয়ে ব্যবসায়িক ভাবনা মূল্যায়িত করা সাকসী হান্ডা তার এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে জন্য আমাকে উপযুক্ত মনে করায় আয়োজক ও জুরিবোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ইউনিলিভার বাংলাদেশের হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করাটা আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি। একই সাথে এটি মানবসম্পদ উন্নয়নে ইউনিলিভারের দায়বদ্ধতার-ও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, এই অর্জনের জন্য আমি আন্তরিকভাবে ইউনিলিভারকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যেটি সত্যিকার অর্থেই ‘স্কুল অব লিডার’ হিসেবে স্বীকৃত। একইসঙ্গে আমি কৃতজ্ঞ আমার অসাধরণ টিম এবং সহকর্মীদের কাছে, যারা কোম্পানির ব্যবসা, কর্মী এবং কমিউনিটিতে বাড়তি মূল্য যুক্ত করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন ও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি আন্তরিক নেতৃত্বে বিশ্বাসী, যেটি আমার টিমের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি কর্মীবান্ধব কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং ব্যবসার কৌশলগত অংশীদারিত্ব হিসেবে মানবসম্পদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।