ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মো. বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরসহ তিন জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক আবুল কালাম আজাদ মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে রিফাত হাসান রুবেল। আদালতের বেঞ্চ অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ আর এস এম মনিক হাওলাদার ও রেজাউল করিম জাকিরের ছেলে জিসান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মৃত বেলায়েত হোসেনের পরিবারের সঙ্গে কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর জেরে গত ১০ জুলাই ঈদ উল আজহার দিন রাত ১০টার দিকে রেজাউল করিম জাকির, তার বড় ভাই মানিক হাওলাদার, রেজাউল করিম জাকিরের ছেলে জিসানের নেতৃত্বে নাম না জানা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে কলেজ মোড় এলাকার মৃত বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ত্রাসের সৃস্টি করে।
মনির হোসেন মাহমুদ সোহেল, রুমানা তাসমিন শান্তা আসামি রেজাউল করিম হামলার কারণ জিজ্ঞেস করলে, জাকির তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মুনির মাহমুদ সোহেলকে পিটিয়ে জখম করে এবং কোমড় থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার চেষ্টা করে। এসময় রুমানা তাসমিন শান্তা সোহেলকে রক্ষা করতে গেলে মানিক হাওলাদার তাকে মারধর করেন। এছাড়া হামলার সময় জিসান একটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার বাদী রিফাত হাসান রুবেল জানান, ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরেরদিন সোমবার ঝালকাঠি থানায় মামলা করতে গেলে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে অস্বীকার করেন। সে কারণে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম জাকির জানান, ঈদুল আজহার দিন রাতে কে বা কারা মৃত বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়ির মধ্যে আতশবাজি ফোটায়। এ ঘটনায় বেলায়েত চেয়ারম্যানের ছেলেরা আমার ৯ বছরের ছেলে রাইয়ানকে আটক রেখে গালিগালাজ ও মারধর করে।
এতে আমার আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমি ও আমার বড় ভাই মানিক সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করি। এ সময় নাসির নকিব নামে একজন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হন।
চেয়ারম্যান বাড়িতে কোনো হামলা বা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার জন্য মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।