ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রখ্যাত আলেম গালুয়ার হুজুরের জানাযায় জনতার ঢল

:
: ৬ years ago

ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রখ্যাত আলেম গালুয়ার পীর হজরত মাওলানা আঃ হকের আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন। উপজেলার গালুয়ায় নিজ বাড়িতে তার ইন্তেকাল হয়। মৃত্যুকালে তার বয়েস হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে ও নাতি নাতনীসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য মুরিদান ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি সকল দল, মতের নেতা-কর্মী, আলেম-ওলামাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। এ অঞ্চলের আলেম-ওলামা এবং ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের জন্য দীর্ঘকাল প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাদ আছর নিজ বাড়ির মাদরাসা এলাকায় মরহুমের জানাজা অংশগ্রহনের জন্য জনতার ঢল নামে।

জানাযায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ-সউদী সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ বজলুল হক হারুন এমপি (ঝালকাঠি-১) অংশ গ্রহন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এলাকার মুরব্বিগন সহ দক্ষিনাঞ্চলের প্রখ্যাত আলেম-ওলামা, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নামাজের পূর্বে মরহুমের জীবনী নিয়ে দেশ বরেণ্যে আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তারা বলেন, হজরত মাওলানা আঃ হকের ছিলেন একজন সংগ্রামী আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে ইসলামি অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বক্তারা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। দল মত নির্বিশেষে সকলই হজরত মাওলানা আঃ হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।