ঝালকাঠিতে স্কুলের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ঝালকাঠির রাজাপুরে জোরপূর্বক স্কুলের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১০০নং মধ্য রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

অজ্ঞাত কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন সরকারি জমি রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গেছে। প্রধান শিক্ষকের দাবি- বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে, স্থানীয় মৃত এনাচ আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ হাওলাদার ১৯৯১ সালের ২৭ আগস্ট ওই স্কুলের অনুকুলে ৩৩ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়।

হঠাৎ করে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া এলাকার মেনাজ উদ্দিনের ছেলে ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জামাল তালুকদারের আত্মীয় আবু হানিফ সরকারি স্কুলের লাগনো সাইনর্বোড মাটিতে ফেলে দিয়ে তার নিজের নামের সাইনর্বোড লাগিয়ে দিয়ে জমি দখলে নেয়।

পরে ওই জমিতে থাকা স্কুলের গাছপালা কেটে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে আবু হানিফ। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষটি স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এ বিষয়ে আবু হানিফ জানান, তিনি তার বোনের কাছ থেকে ২০০৫ সালে এই ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জামাল হোসেন তালুকদার জানান, স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান খান জানান, আবু হানিফ স্কুলের জমিতে জোর করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখে দিলেও সে স্কুলের পক্ষে কোনো কাগজপত্র না দেখেই আমাকে ওই জায়গায় যেতে নিষেধ করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিবুর রহমান জানান, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এসিল্যান্ডের কাছে পাঠিয়েছিলাম, এসিল্যান্ড জানিয়েছে জমি স্কুলের না।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুজা মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, কোন স্কুলের বিষয়ে তা আমার খেয়াল আসছে না। যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে খুঁজে দেখতে হবে বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোনটি রিসিভ করেননি।

বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।