ঝালকাঠিতে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন করলেন আ.লীগ নেতা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অনলাইন ডেস্ক// চুরি অপবাদ দিয়ে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়ন পরিষদে সেলিম বেপারী (২০) নামে এক যুবককে দুইদিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।

নাচনমহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক মেম্বার নান্নু সিকদারের নেতৃত্বে শনিবার ওই যুবককে ধরে এনে ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার একটি কক্ষে নির্যাতন চালানো হয়।

খবর পেয়ে রোববার ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নলছিটি থানায় নেয় পুলিশ। নির্যাতিত সেলিম নলছিটির নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডাবরা গ্রামের সুলতান বেপারীর ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেম্বার নান্নু সিকদারের ভাইয়ের ট্রলার ও ভবানীপুর বাজারে চুরির অপবাদ দিয়ে সেলিমকে নির্যাতন করেছে নান্নু সিকদার ও তার সহযোগীরা। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুলিশ সেলিমকে নিয়ে যাওয়ার সময় শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু সিকদার বলেন, ৪ জানুয়ারি রাতে ভবানীপুর বাজারে কামরুলের সমিল থেকে লোহার চাকা, মনির মোল্লার চায়ের দোকান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ও গ্যাসের চুলা এবং আমার ভাই চুন্নু সিকদারের ট্রলারে চুরি করে সেলিম। চুরি হওয়া মালামাল ৫ জানুয়ারি সকালে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় চুরির মালামালের সঙ্গে জড়িত সেলিম বেপারীকে আটক করা হয়। বিষয়টি নাচনমহল ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে জানালে সেলিমকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যেতে বলেন। সেলিমকে নলছিটি নিয়ে এলে সাধারণ মানুষ মারধর করে। তবে তার নখে সুই ঢুকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে নেয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে থানায় না পাঠিয়ে ওষুধপত্র দিয়ে সেলিমকে পরিষদের দোতলার একটি কক্ষে রাখা হয়।

এ বিষয়ে নির্যাতিত সেলিম বেপারী বলেন, আমাকে নান্নু মেম্বার, তার ছেলে রিপন, সমিল এবং দোকানের মালিক কামরুল ও মনির মোল্লা পরিষদের রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। আমার পায়ের আঙুলের নক উঠিয়ে হাতের আঙুলে সুই ডুকিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানা পুলিশের ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রোববার বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ চুরির সঙ্গে সেলিম একা নয়; একটি সিন্ডিকেট জড়িত। চুরির ঘটনায় দোকান ও সমিল মালিকদের ডাকা হয়েছে। তারা মামলা দিলে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে নাচনমহল ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেলিম এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জাড়িত। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।