ঝালকাঠি সদর উপজেলায় গৃহবধূ পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী তানজিল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সিআইডির এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, আড়াই বছর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে পারভীন আক্তারের সঙ্গে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে তানজিল হাওলাদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১ বছর ৮ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছর ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল পারভীনের। জানা যায়, পারভীনের স্বামী তানজিল হাওলাদার এবং শাশুড়ি সুলতানা বেগম প্রায়ই তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং বাড়ি থেকে বের করে দিতো।’
গত ৯ অক্টোবর পারভীন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় তার মায়ের কাছে চলে আসেন। কিছুদিন আগে পারভীন জানতে পারেন যে, তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ওঠেন।
এরপর গত ১৩ অক্টোবর রাতে পারভীনের ফোনে কল দিয়ে তাকে বাইরে যেতে বলেন তানজিল। সেসময় বাড়ির পাশের খালি জায়গায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে পারভীনকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায় তানজিল।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, পরে এ ঘটনায় মামলা হলে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে আসামি তানজিলকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি টিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তানজিল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।