ঝালকাঠিতে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নুরুল ইসলাম মল্লিক (৫৫) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে নিহতের ছোট ভাই মো. সামছুল হক মল্লিক বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

নিহত নুরুল ইসলাম মল্লিক ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ধারাখানা গ্রামের মৃত এনছাব আলী মল্লিকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দেওয়ানী মামলা (নং-৪৭২/১৯) বিচারাধীন রয়েছে। ঘর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুই পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে সালিশ-মীমাংসার নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে নুরুল ইসলামের বাড়িতে অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম কবীর, অ্যাডভোকেট খান হাফিজুর রহমান বাবু, অ্যাডভোকেট চুন্নু মিয়া উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন।

সালিশ-মীমাংসার মধ্যেই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ খালেক হাওলাদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জন মিলে নুরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। রাত ৮টার দিকে নুরুল ইসলামকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরপক্ষের রিপন (২৪) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে পুলিশ তাকে আটক করে।

নিহতের ছেলে সেনাবাহিনীর সদস্য গোলাম রাব্বি জানান, বাবা হত্যার সংবাদ শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি নিয়ে রোববার সকালে বাড়িতে পৌঁছায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মাগরিবের নামাজের পরে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই।

বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারেক হোসেন মল্লিক জানান, নুরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেকের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ-মীমাংসায় বসলেও কোনো সমাধান করতে পারিনি। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে নুরুল ইসলামকে হত্যা করেছে। এর একটা সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া প্রয়োজন।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ফোর্স নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের ছোট ভাই সামছুল হক মল্লিক বাদী হয়ে আটক রিপনসহ ৮জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।