শামীম আহমেদ, ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম এনামুল হক বলেছেন, “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান কোন রাজনৈতিক দলের নয়। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান, দেশের শ্লোগান। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে শিক্ষার্থীদের “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান শেখাতে হবে। এটা দেশত্ববোধের শ্লোগান। আগে জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্রছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা পরিবর্তন করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করেছেন। তাই দেশে কোন সংখ্যালঘু নেই। যারা জাতিগত সংখ্যালঘু বলেন বা ভাবেন তারা ভুল করেন। এখানে সংখ্যালঘু হলো তারাই, যারা বাংলাদেশে বাস করে শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে পারেনা। যারা শুদ্ধাচারণ করতে পারেন না তারাই সংখ্যালঘু।
পরীক্ষায় সন্তানদের এ প্লাস পাওয়া নিয়ে মায়েদের কি যুদ্ধ আমার দেখেছি। অথচ সেই এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ বাংলা বলতে পারে না। গোল্ডেন এ প্লাস কোন শব্দ না থাকলেও তা নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। শুধু এ প্লাস পেলেই হবেনা, শিক্ষার সাথে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিগুলো শিক্ষকদের শেখাতে হবে।
রবিবার সকালে জাতির পিতার শৈশবের বিদ্যাপীঠ আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, ৪৭টি ইভেন্টে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম এনামুল হক আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবের বিদ্যাপীঠের অনুষ্ঠান এসে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্যের কারণে শিক্ষার্থীরা ওই কোচিংএ না পরলে শিক্ষার্থীরা ফেল করে! এই মানসিকতা থেকে শিক্ষকদের বের হয়ে আসতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গৈলা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপুল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে’র উপ-পরিচালক ফয়সাল আহমেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন, বাংলা বিভাগের চেয়াম্যান মহসিনা হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগেরে চেয়ারম্যান শরিয়া উম্মে শিরিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান, গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু প্রমুখ।