জোর করে রাজস্ব আয় করতে চাই না-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব বকেয়ার পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উপায়ে পাওনা আদায়ের চেষ্টা করা হবে।

জোর-জুলুম করে আমরা রাজস্ব আয় করতে চাই না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা যত্নবান হবো। যাদের কাছ থেকে বকেয়া পাওয়া রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে হবে।

সরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের বেশ কিছু পাওনা রয়েছে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ডিও লেটার দিয়ে রাজস্ব আদায়ের জন্য চিঠি দেব। সরকারের পাওনার মধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে ২২ হাজার কোটি টাকা, প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে ২ হাজার ৩শ কোটি টাকা, ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট ফি বাবদ আছে সাড়ে ৫শ কোটি টাকার বেশি এবং বিটিআরসির কাছে ৫শ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

কর ও শুল্কে রেয়াত ও অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে আনার বিষয়ে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা বানিজ্য-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করবো। বর্তমানে একটি বিষয় চলমান রয়েছে। কর ও শুল্কে রেয়াত বা অব্যাহতি সুবিধা দেয়া। আমরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করবো। আস্তে আস্তে এ বিষয়টি গুটিয়ে নেয়া দরকার। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন আর শিশু অবস্থায় নেই। সব ক্ষেত্রেই আমাদের পরিপক্কতা এসেছে। একজন যদি রেয়াত চায়, আরেকজন চাইবে। আমি মুখ দেখে কাজ করবো না, কোনো অন্যায় মেনে নেবো না।

তিনি বলেন, বিদেশি নির্ভশীলতা কমানো দরকার। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২০-২১ সালের মধ্যে করের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৫ বা এর কাছাকাছি অর্জন করা। বর্তমানে যা ১১ এর কাছাকাছি রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, চাপ দিয়ে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বাড়ানো।

এ সময় তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের কার্যক্রম সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান ও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহা-পরিচালক ড. মইনুল খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।