জোর করে নির্বাচনে আনা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

:
: ৭ মাস আগে

যদি কেউ ইচ্ছে করে নির্বাচনে না আসে, তাহলে তাকে জোর করে আনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কেউ ইচ্ছে করে নির্বাচনে না আসে, তাহলে কি কাউকে জোর করে আনা যাবে? যারা মনে করছেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে যাচ্ছে; বাংলাদেশ যেভাবে চলছে, সে অনুযায়ী একটা নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল হতে হবে, তারাই নির্বাচনে আসছেন। যারা মনে করছেন, তারা জোর করে আসবেন, সন্ত্রাস দিয়ে আসবেন, গাড়ি ভাঙচুর করবেন, জ্বালাও-পোড়াও করবেন, মানুষ হত্যা করবেন, তাদের কথা আলাদা। তারা আলাদাই রয়ে গেছেন। যারা এগুলো চান না, তারা কিন্তু এরইমধ্যে চলে এসেছেন। ছোট দল, বড় দল সবই একাকার হচ্ছে।’

 

সরকার চাপ দিয়ে বিএনপির সাবেক নেতাদের নির্বাচনে আনছে, এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখানে চাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। এরা সব সময় আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারা ইলেকশন করবেন, করতে চান।’

‘আমাদের কথা একটাই—নির্বাচন ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে, আপনারা যেভাবে দল ভেঙে নতুন দল করেছেন, সেভাবেও আসুন বা আপনারা যেভাবে আসতে পারেন, আসুন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের স্বাগত,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

নির্বাচনে আসতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আহ্বান জানাবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো আহ্বান জানিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে। আমরা তো একটা দল, আমরা তো তাদের আহ্বান করতে পারি না। তারা নিজেরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তাদের যদি কিছু বলার থাকে, বলবেন।’

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা ও দণ্ড দেওয়া হচ্ছে, বিএনপির এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমি যদি এভাবে বলি, বিএনপির সিদ্ধান্তটাই তাদের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। যার প্রমাণ আমি দেখালাম—তারা আরও দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে। বিএনপির নেতারাই ভাগ করেছেন। একটায় গেছেন তৈমুর আলম খন্দকার আর একটায় শমসের মবিন চৌধুরী। এরা সবাই বিএনপির প্রমিনেন্ট নেতা, তারাই ভাগ হচ্ছেন। এখানে কাউকে জোর করতে হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, তাদের মনঃপুত হচ্ছে না। তারা নির্বাচনমুখী, সেজন্যই তারা নির্বাচনে চলে আসছেন। তারা তাদের সেন্ট্রাল কমিটির নির্দেশের বাইরে চলে আসছেন। আমাদের দল থেকে তাদের জোর করার কিংবা আহ্বান জানানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।

সরকারের প্রভাবে মির্জা ফখরুলসহ নেতাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না, এ অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন, সরকার প্রভাব বিস্তার করবে কেন? বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমাদের সরকারের কোনো প্রভাব সেখানে নেই। কেইস টু কেইস দেখে তারা (বিচারক) জামিন দিচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এখানে কোনো কিছুতে প্রভাবিত হয়ে বিচারকরা সিদ্ধান্ত দেননি। আমাদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নয় এটা।