আগেই জানা ছিলও বিকেলটা হবে জেমস ও তার ভক্তদের। বাংলাদেশের রক লিজেন্ড নগরবাউল-খ্যাত জেমসের জন্মদিন ছিল সোমবার(০২ অক্টোবর)। বিকেল ৪টায় ভক্তদের জন্য সময় রেখেছিলেন জেমস। ভক্তরা ছুটে গিয়েছিলেন প্রিয় শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানাতে।ভক্তদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন এই রকস্টার। এ সময় ফুল দিয়ে জেমসকে শুভেচ্ছা জানান ‘জেমস ফ্যান ক্লাব’ ও ‘জেমস গুরুর দুষ্টু ছেলের দল’নামের সংগঠন। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে জেমসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
বারিধারা ডিওএইচএসের দুই নম্বর রোডের ১৪৮ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট কিছু সময়ের জন্য হয়ে উঠে জেমস ও তার ভক্তদের মিলন-মেলা। এ সময় স্বল্পভাষী জেমস বলেন, এটা ভালো লাগছে, ভীষণ ভালো লাগছে।জেমস ফ্যান ক্লাবের সভাপতি প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, গুরুর জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানো হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা সারাদেশে সবুজায়নের জন্য কাজ করবো। এই আয়োজনটি বাস্তবায়ন করবে জেমস ভক্তদের সংগঠন জেমস ফ্যান ক্লাব।
১৯৬৪ সালের এদিনে নওগাঁয় জন্ম নেন মাহফুজ আনাম জেমস। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা এবং সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু চট্টগ্রামে। জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।জেমসের সঙ্গীতচর্চা পরিবারের লোকজন পছন্দ করতো না। সঙ্গীতের টানে ঘর ছেড়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সঙ্গীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়। জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’।১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম স্টেশন রোড প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে অনন্যা নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পান তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে জেল থেকে বলছি, ১৯৯৬ সালে নগর বাউল, ১৯৯৮ সালে লেইস ফিতা লেইস, ১৯৯৯ সালে কালেকশন অব ফিলিংস অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়।এরপর ফিলিংস ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড দুষ্টু ছেলের দল এবং বিজলি শিরোনামে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। এরপর জেমস একক অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ করেন দুঃখিনী দুঃখ করো না, ঠিক আছে বন্ধু, আমি তোমাদেরই লোক, জনতা এক্সপ্রেস, তুফান এবং সর্বশেষ কাল যমুনা।