বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বাংলায় অংশ নিয়েছিল কিশোরী জান্নাতুল নাইমা (১৪)। কিন্তু পরীক্ষার মাঝেই শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে তার বাসায় চলছিল বিয়ের আয়োজন। খবর পেয়ে এ বাল্যবিয়ে ঠেকালেন হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন।
এ সময় উপস্থিত কিশোরী নাইমার পরিবার ও বর আব্দুল আল নোমানের পরিবারের কাছ থেকে কনে জান্নাতুল নাইমা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে হবে না বলে মুচলেকাও নেয়া হয়।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের দাইমুদ্দিন সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিশোরী জান্নাতুল নাইমা স্থানীয় গড়দুয়ারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা একজন প্রবাসী। তার মা পরীক্ষা চলাকালেই রাউজান উপজেলার গহিরার আব্দুল আল নোমানের সঙ্গে কিশোরী নাইমার বিয়ে ঠিক করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে খবরটি জেনে আমি খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে বিকেলে কনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিশোরী নাইমাকে উদ্ধার করি। এ সময় ওই কিশোরী আমাকে জানায়, সে আরও পড়ালেখা করতে চায়।’
রুহুল আমীন বলেন, ‘কিশোরী নাইমা ও বর আব্দুল আল নোমানের পরিবারকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে উভয় পরিবার থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। নাইমা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করে উভয় পক্ষ মুচলেকায় স্বাক্ষর করেছে।’
বিষয়টি দেখভালের জন্য গড়দুয়ারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদারকে সার্বিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও রুহুল আমীন।