সারাদেশের সাথে একযোগে বরিশাল বোর্ডের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রথম দিনের পরীক্ষায় ছয় জেলায় মোট ৩ হাজার ১৬৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে এ পরীক্ষায় কোন কেন্দ্র পরিদর্শককে বহিস্কারের খবর পাওয়া যায়নি।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, ‘‘সারাদেশের ন্যায় বরিশাল বিভাগের ১৮১টি কেন্দ্রে সকাল ১০টায় এক যোগে পরীক্ষা শুরু হয়। যা শেষ হয়েছে দুপুর ১টায়।
বরিশাল বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে প্রথম দিনের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ভাল। বিভাগের এ বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৮ জন।
এদের মধ্যে প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে এক লাখ ১২ হাজার ৫৫৫ জন। অনুপস্থিতির সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৩ জন ও বহিস্কার ৮ জন। যারা বহিস্কার হয়েছেন তাদের মধ্যে ভোলার ৬ জন ও ঝালকাঠির দু’জন। তাছাড়া অনুপস্থিতির হার ভোলা, পটুয়াখালী এবং বরিশাল জেলায় বেশি।
অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৬৩টি কেন্দ্রে ৯২৪ জন, ঝালকাঠি জেলার ১৭ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৩০৫ জন, পিরোজপুরের ২১ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৩৫১ জন, পটুয়াখালীর ৩৪ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৫৫৬ জন, বরগুনার ২০ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৩৪২ জন ও ভোলা জেলার মোট ২৬টি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল ৬৮৫ জন।
এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের জেএসসি’র প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৫৬ জন এবং বহিস্কারের সংখ্যাও ছিল ৮ জন। ওই পরীক্ষায় মোট ১৭৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ৩৮২ জন। প্রথম দিনের পরীক্ষায় উপস্থিতি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ১২৬ জন।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস মিয়া বলেন, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষায় কোথাও কোন গোলযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বোর্ডের ৮টি ভিজিলেন্স টিম রয়েছে, যারা কেন্দ্র পরিদর্শনসহ পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে তদারকি করছে।
এছাড়া পরীক্ষা শুরুর পরে ছয় জেলার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। তাছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল।