চলতি জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সফরে স্পেনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির সরকারপ্রধান পেদ্রো সানচেজের আমন্ত্রণে আগামী ২১ থেকে ২২ জুলাই স্পেন সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্পেনের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে স্পেনেরও আগ্রহ আছে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা, শান্তি প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করতে চায় উভয় দেশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পেদ্রো সানচেজের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু। এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ স্পেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পেন সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অভিবাসনও গুরুত্ব পাবে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ স্পেনে ৩৭০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। এর বিপরীতে আমদানি করা হয় প্রায় ২২ কোটি ডলারের পণ্য। স্পেন থেকে সরাসরি বিনিয়োগ কম। কিন্তু, বিদ্যুৎ খাতে স্পেনের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আগ্রহ আছে। অন্তত ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে এসব কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে বা এখনও করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পরে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি থাকে। কারণ, দেশটি অত্যন্ত অভিবাসনবান্ধব এবং সেখানে অভিবাসীদের কাজ করে টিকে থাকার সুযোগ বেশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, স্পেনে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্পেন সফর করেছেন। এবারই প্রথম তিনি দ্বিপক্ষীয় সফর করছেন। আশা করা হচ্ছে, ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এ সফর বড় ভূমিকা রাখবে।